দেবজিৎ মুখার্জি: অবশেষে নেওয়া হলো বদলা। দিল্লির মাঠে দিল্লিকে হারালো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শুধু জয় নয়, রীতিমতো লড়াকু জয় পেয়েছেন রজত পতিদার ও তাঁর বাহিনী। হারা ম্যাচ জিতেছে তারা। ৬ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তোলে আরসিবি। সৌজন্যে বল হাতে ভুবনেশ্বর কুমার ও যশ হেজেলউডের বিধ্বংসী বোলিং এবং ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার দুর্দান্ত ব্যাটিং। সবমিলিয়ে, এক সাহসী ক্রিকেট তুলে ধরে জয় নিজেদের নামে করতে সফল হয়েছে বিরাটরা। এর জেরে এই মুহূর্তে তারা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেছে।
এদিনের ম্যাচে আসল নায়ক ছিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে দলের স্কোর যখন ২৬, তখন তিন ব্যাটার আউট হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। এরপর ক্রিজে পাঠানো হয় তাঁকে এবং যেমনটা আশা করা হয়েছিল ঠিক তেমনটাই তিনি করে দেখান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সাহায্যে তিনি টিম ডেভিডকে নিয়ে দলকে ফিনিশ লাইন পার করান। তিনি করেন ৪৭ বলে ৭৩, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি চার এবং চারটি ছয়। তাঁর ও বিরাট কোহলির একটি বড় ও দুর্দান্ত পার্টনারশিপ হারা ম্যাচ জিতিয়ে দেয় বেঙ্গালুরুকে। ক্রুনালকেই ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এই সবকিছুর মাঝেও স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শক থেকে শুরু করে আরসিবি সমর্থক, সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিরাট কোহলির ইনিংস। ৪৭ বল খেলে ৫১ রানে আউট হন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে মাত্র চারটি চার। ধীর-গতিতে রান করলেও এই ইনিংসের প্রশংসা করেছেন অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমী। প্রাক্তন ক্রিকেট তারকারা মনে করছেন যে যেই পরিস্থিতিতে বেঙ্গালুরু পড়েছিল, তখন এমন একটা ইনিংসই প্রয়োজন ছিল বিরাটের থেকে। এখানেই শেষ নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে টিং কোহলি একদিকে ধরে খেলছিলেন বলেই ক্রুনাল পান্ডিয়া আক্রমণত ক্রিকেট খেলার সাহস দেখাতে পেরেছিলেন। বলতে গেলে, রান তাড়া করার ক্ষেত্রে এদিন বিরাটের ইনিংস বেশ আকর্ষণীয় ছিল।
এই ইনিংস প্রসঙ্গে বিরাট নিজের অবস্থান জানান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। কিং কোহলি বলেন, “যখনই ব্যাপারটার রান তাড়া করার হয়, তখন আমি ডাগআউটের সঙ্গে চেক করে দেখি যে আমরা ঠিক পথে আছি কিনা বা আমার ভূমিকাটা কি। কোন বোলারদের টার্গেট করতে হবে। আমি একটা জিনিস নিশ্চিত করি যেন সিঙ্গেল আর ডবল নেওয়া থেমে না যায়। পরিস্থিতি বুঝে বাউন্ডারি হাকাই। এই বছর শুধু নেমেই মারলে চলবেনা। তোমাকে পরিস্থিতি বুঝতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।”