রজতের ব্যাটিংয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা মুগ্ধ হলেও তার অধিনায়কত্বে অসন্তুষ্ট বীরু

রজতের ব্যাটিংয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা মুগ্ধ হলেও তার অধিনায়কত্বে অসন্তুষ্ট বীরু

দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইপিএল বাকিবারের তুলনায় আরসিবির ভালো গেলেও হোম গ্রাউন্ডে তাদের পরাজয় অব্যাহত রয়েছে, যা একটা বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অধিনায়ক রজত পতিদার ও গোটা টিম ম্যানেজমেন্টের। কোনভাবেই ঘরের মাঠে ম্যাচ জিততে সফল হচ্ছেনা তারা। গতকাল তাদের মাথানত করতে হয়েছে শ্রেয়াস আইয়ার নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব কিংসের কাছে। যদিও পাঞ্জাবের ক্ষেত্রেও এদিন জয়টা খুব একটা সহজ ছিলোনা। তাদের বেশ ভালোই চাপে ফেলেছিল বেঙ্গালুরুর বোলিং বিভাগ। পাঁচ উইকেটে জয় পান রিকি পন্টিংয়ের ছেলেরা।

তবে এই পরাজয়ের মাঝেও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন আরসিবি অধিনায়ক রজত পতিদার। গতকাল তিনি ভাঙেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরের রেকর্ড। যদিও স্টার্ট ভালো পেলেও তা কাজে লাগাতে সফল হননি রজত। তার থেকে যা আশা করা হয়েছিল, তা তিনি করে দেখাতে পারেননি। একদিকে যখন উইকেট পড়ে যাচ্ছিল তখন বেঙ্গালুরু সমর্থক রা মনে করছিলেন যে তিনি শেষ অবধি টিকে থাকবেন এবং দলকে একটা বড় টোটালে নিয়ে যাবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং তিনিও বাকিদের মতো মারতে গিয়ে নিজের উইকেট হারান। তবুও দিনের শেষে আইপিএলে তাঁর শচীন তেন্ডুলকারের ৩১ ম্যাচে ১০০০ রানের রেকর্ড ভাঙ্গা প্রশংসা কুড়িয়েছে সকলের। তিনি হাজার রানের গন্ডি ছোন ৩০ ম্যাচে।

কিন্তু এতো প্রশংসার মাঝেও রজত পতিদারের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সহবাগ। যদিও শুধু রজত একা নন, দলের প্রতিটা ব্যাটারের পারফরম্যান্সে বেশ ক্ষুব্ধ। কি বলেছেন বীরু? ক্রিকবাজে প্রাক্তন ভারতীয় তারকা বলেন, “পতিদারের উচিত চিন্তা করা কিভাবে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা যায়। একটাও হোম ম্যাচ যেতে নেই ওরা এই বছর। বোলাররা তো বেশ ভালই পারফর্ম করছে কিন্তু ব্যাটিংয়ের অবস্থা এমন কেন? ঘরের মাঠে এরকম ব্যাটিং বিপর্যয় একেবারেই ঠিক নয়। কে ঠিক করবে এটা? ক্রেডিট দেওয়া উচিত পাঞ্জাবের বোলারদের যারা বেঙ্গালুরুকে ১০০ রানের নিচে আটকাতে সফল হয়েছে।”

এরপর আরসিবির ব্যাটিং বিভাগকে একহাত নেন বীরু। তিনি বলেন, “গোটা দল বিশ্রী ব্যাটিং করেছে। সকলেই ভুলভাল শট খেলে আউট হয়েছে। একজনকেও দেখলামনা ভালো বলে আউট হয়েছে। অন্তত একজনের উচিত ছিল কমন সেন্স ব্যবহার করার। যদি উইকেট হাতে থাকতো তাহলে ১৪ ওভার শেষে ১১০-১২০ রান করতে পারতো এবং সেক্ষেত্রে ওদের কাছে ম্যাচ জেতার একটা সুযোগ থাকতো।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *