দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইপিএলে জয়ের ধারা ধরে রেখেছে রজত পতিদার নেতৃত্বাধীন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এবার তারা পরাজিত করলো চেন্নাই সুপার কিংসকে। যদিও জয়ের পথ একেবারেই সহজ ছিলোনা তাদের কাছে। মাত্র ২ রানে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তোলে তারা। এদিন চেন্নাইও আরসিবির দেওয়া বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী রূপ ধারণ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ফিনিশ লাইন পার করতে পারেনি। গতবারের আইপিএলের মতো এবারও বল হাতে দলকে শেষ ওভারে জয় দিলেন যশ দয়াল। সবমিলিয়ে, এই জয় আরসিবিকে টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি চিন্তা বাড়িয়েছে অন্যান্য দলগুলির।
তবে এদিনের ম্যাচে এক অসাধারণ ইনিংস তুলে ধরেছেন আরসিবির ক্যারিবিয়ান তারকা অলরাউন্ডার রোমারিও শেপার্ড। এক অবিশ্বাস্য ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি নিজের দল সহ স্টেডিয়ামে উপস্থিত সমর্থকদের। মাত্র ১৪ বলে তিনি করেছেন ৫৩ রান, যার মধ্যে রয়েছে চারটি চার এবং ছটি ছয়। অর্থাৎ মোট ৫২ রান এসেছে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতেই। তাঁর এই দুর্দান্ত ও মারকুটে ইনিংস বেঙ্গালুরুকে এক বড় রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় চেন্নাইয়ের পরাজয়ের পেছনে। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় তাঁকেই।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রোমারিও নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করেন। ক্যারিবিয়ান তারকা জানান যে দীর্ঘদিন ধরে এই সুযোগটির জন্য তিনি অপেক্ষা করেছিলেন এবং অবশেষে সেটা পেয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, রোমারিও এটাও জানান যে কোথা থেকে তিনি শক্তি পেয়েছেন। এর জন্য তিনি তাঁর সতীর্থ টিম ডেভিডকে কৃতিত্ব দেন। পাশাপাশি, শেপার্ড এটাও জানান এই ইনিংসের পেছনে দীনেশ কার্তিকের অবদান। তাঁর এই অসাধারণ ইনিংস মন জয় করেছে বহু ক্রিকেটপ্রেমীর। পাশাপাশি, এক বড় আলোচনার বিষয় হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে।
রোমারিও বলেন, “এই সুযোগটার জন্য আমি বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম এবং অবশেষে আমি আজ সেটা পাই। দলকে একটা ভাল ফিনিশ দিতে চেয়েছিলাম। টিমি আমাকে বলে নিজের শেপ ধরে রাখতে এবং সেখান থেকে সুইং করতে। প্রথম কয়েকটি ম্যাচে আমরা ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ব্যর্থ হই। এরপর দিকে আমাদের কয়েকটি টাস্ক দেন এবং ওটাই আজ কাজে আসে। আমি বড় রান করার লক্ষ্যে নামিনি। আমি বল বাই বল প্রকাশ করছিলাম এবং চার ও ছয় মারার চেষ্টা করেছিলাম। যখন আমি ক্রিজে আসি তখন টিমি আমাকে বলে রিলাক্স করতে এবং চেষ্টা করতে আর সেটাই আমি করি।”