“ভয়তে ছিলাম” ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানালেন মইন

“ভয়তে ছিলাম” ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানালেন মইন

দেবজিৎ মুখার্জি: ঠিক কতটা আতঙ্কের আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে? এবার এই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য রাখলেন প্রাক্তন ইংলিশ তারকা, তথা কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা অলরাউন্ডার, মঈন আলি। যদিও তিনি নিজের জন্য ভয় পাননি, পেয়েছিলেন নিজের মা-বাবার জন্য কারণ সেই মুহূর্তে তাঁরা ছিল উপত্যকায়, ওরফে জম্মু ও কাশ্মীরে। তিনি তুলে ধরেন এক গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, তিনি বোঝান যে ভাগ্যের জোরে প্রাণে বাচেন তাঁর মাতা-পিতা।

পহেলগাঁওতে ভারতীয় পর্যটকদের উপর পাক সন্ত্রাসবাদীদের হামলা ও হত্যার ঘটনা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। অবস্থা এতটাই উগ্র হয়ে ওঠে যে শেষ পর্যন্ত মাঝপথে থামাতে হয় আইপিএল ম্যাচ। কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখা হয় টুর্নামেন্ট। একেবারে অ্যাকশন মোডে নামে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের একাধিক অঞ্চলে হামলা চালানো হয়, যা প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশবাসীর। যদিও শেষ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হতাশ করিয়েছে অনেককে এবং শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। পাশাপাশি, এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা এসেছে সাধারণ মানুষের তরফ থেকেও। 

তবে সেই সময়ে এক আলাদা আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল গোটা ভারতবর্ষে। বলতে গেলে, প্রত্যেক মুহূর্তে সতর্ক ছিলেন ভারতীয় সেনারা। দেশের সাধারণ মানুষও অ্যালার্ট ছিলেন। অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে বন্যা বইতো এই সংক্রান্ত পোস্টের। পাশাপাশি, খবরের চ্যানেলগুলিতেও চোখ রাখতেন অনেকে। ভারত সরকার বা দেশের সেনা কি করছে, তার উপর নজর রাখতেন সকলে। সকলেই তখন মুখিয়ে ছিলেন পাকিস্তানকে ভারত কি কড়া জবাব দেবে সেদিকে। এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয় দুই দেশে।

এবার সেই মুহূর্তে আতঙ্কের পরিবেশ নিয়ে মুখ খুললেন নাইট তারকা মঈন আলি। নিজের মা-বাবাকে নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন প্রাক্তন ইংলিশ তারকা। তিনি বলেন, “তখন কাশ্মীরে ছিলেন আমার মা-বাবা। যেখানে পাকিস্তান মিসাইল আঘাত করে, তার কিছুটা দূরেই ওনারা ছিলেন। সেটা এক ভয়াবহ মুহূর্ত ছিল। যে বিমানটি সেদিন উপলব্ধ ছিল, সেটিতেই বেরিয়ে যান ওনারা। আমার মা-বাবা বেরিয়ে গেছে জানতে পেরে, আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। নিঃসন্দেহে এক ভয়াবহ মুহূর্ত ছিল।” নিজে কি পরিস্থিতিতে ছিলেন, সেটিও তুলে ধরেন মইন। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছিল যেন যুদ্ধের মাঝে রয়েছি আমরা। তবে তেমন কিছু আমরা শুনিনি। হঠাৎ তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে যায় বাড়ি ফেরার জন্য।”

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *