দেবজিৎ মুখার্জি: এই মুহূর্তে এক রোমাঞ্চকর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে চলতি আইপিএল। পয়েন্ট তালিকায় গুজরাট, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই প্রথম চারে থাকলেও যেকোনো মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে চিত্র। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংস পয়েন্ট তালিকায় একদম নিচে থাকলেও তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে পয়েন্টস টেবিলের ছবি পাল্টানোর ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, পাঞ্জাব পাঁচ নম্বরে থাকলেও আজকের ম্যাচ জিতলে তারা আবার মুম্বাইকে ছাপিয়ে চলে যাবে। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে ঠিক যেন এক সাপ-সিঁড়ি লুডোর খেলা চলছে, যা সকল ক্রিকেটপ্রেমীদের রেখেছে ‘এজ অফ দা সিট’এ।
তবে এবার অপ্রত্যাশিতভাবে চাপে পড়েছে গত মরশুমের দুই ফাইনালিস্ট – কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ৮ ম্যাচে তিনটি জয় এবং পাঁচটি পরাজয় নিয়ে সাত নম্বরে রয়েছে কেকেআর। অন্যদিকে, ৯ ম্যাচে তিনটি জয় এবং ছটি পরাজয় নিয়ে ৮ নম্বরে রয়েছে এসআরএইচ। অর্থাৎ এখন দুই দলের কাছেই ‘প্লে-অফ’ খেলতে হলে সবকটি ম্যাচ জিততে হবে। বিশেষ করে হায়দ্রাবাদকে। কারণ তাদের হাতে রয়েছে আর পাঁচটি ম্যাচ এবং কোয়ালিফাই করতে হলে সবকটি জেতা জরুরি। যদিও ‘নেট রান রেট’এর খেলা তো রয়েছেই। নাইটেরও প্রায় একই অবস্থা। সবমিলিয়ে, এখন দুই দলের পথেই ভর্তি কাঁটা।
তবে কিভাবে ‘প্লে-অফ’ খেলা সম্ভব, এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দুই দলের তারকা ক্রিকেটার। হায়দ্রাবাদের হয়ে অবস্থান জানালেন তরুণ তারকা অলরাউন্ডার নীতিশ কুমার রেড্ডি এবং কলকাতার হয়ে বক্তব্য রাখেন দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মইন আলি। দুজনেই স্পষ্ট করে দেন যে তারা সবরকমভাবে প্রস্তুত করছে নিজেদের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য। দুজনের কথা থেকেই স্পষ্ট যে তারা কোনভাবেই এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেনা। বলা যায়, ‘প্লে-অফ’ যাওয়ার লড়াই বেশ হাড্ডাহাড্ডি হবে। এছাড়া প্রথম চারটি দল কেমন পারফর্ম করে, সেটাও একটা বড় বিষয়।
নীতিশ বলেন, “যেমনটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হয়েছে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ হিসেবে ব্যাপারটা নিচ্ছি এবং এই ম্যাচটি জিতে আমরা গর্বিত। আশা করছি পরবর্তী ম্যাচগুলিও আমরা জিতবো। গতবার একই পরিস্থিতিতে ছিল আরসিবি। তারপর পরপর সাতটা ম্যাচ জিতেছিল ওরা। তাহলে আমরা কেন পারবোনা? আমরা ১০০ শতাংশ দিচ্ছি। এবার দেখা যাক কি হয়।”
অন্যদিকে, মইন বলেন, “ইতিহাস দেখুন। মুম্বাই খারাপ শুরু করেছিল। কিন্তু পরপর চারটি ম্যাচ জিতে এখন ওরা অনেকটা এগিয়ে গেছে। ঠিক একইভাবে আমাদেরও সেই মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে। প্রায় প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের জিততে হবে। দলের সেটা করার ক্ষমতাটা রয়েছে। কিন্তু তার জন্য সাহসী ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের। আমাদের মাঠে সেরাটা দিতে হবে।”