দেবজিৎ মুখার্জি: ভারতের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গ উঠলেই সবাই এক কথায় নাম নেয় আইপিএলের। ৮ থেকে ৮০, সকলেরই আগ্রহ এই টুর্নামেন্ট নিয়ে চরম। প্রত্যেক বছরই ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকে এর দিকে। এছাড়া প্রতিটা ক্রিকেটারের কাছেও আইপিএল গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শুধু নিজের প্রতিভা তুলে ধরার একটি বড় মঞ্চ শুধু নয়, ভালো পারফর্ম করলে জাতীয় দলে জায়গাও পাওয়া যাবে। প্রতিবারই কোনো না কোনো নতুন তরুণ তারকা এই টুর্নামেন্ট থেকে দলে নিজের জায়গা করেও নেন।
গতবার এই ট্রফি নিজেদের ঝুলিতে তুলেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফাইনালে তারা বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে। সুতরাং এবার তারা হয়ে উঠেছে একটি বড় আলোচনার বিষয়। পাশাপাশি, যেভাবে দলে একাধিক বদল আনা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে এবারও জয় তারা নিজেদের নামে করতে পারবে কিনা। এই বছর দলকে নেতৃত্ব দেবেন অজিঙ্কা রাহানে। তরুণ এবং তারকা ক্রিকেটার মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে দল।
আইপিএল ২০২৪ মিলিয়ে মোট তিনবার ট্রফি নিজেদের নামে করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এর আগে তারা জিতেছিল ২০১২ ও ২০১৪ সালে। যদিও নাইটদের এই সাফল্যের সিঁড়ি চড়া একেবারেই সহজ ছিলোনা। প্রথমদিকে যখন তাদের লাগাতার ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল, তখন তাদের পড়তে হয়েছিল নানা সমালোচনার মুখে। এখানেই শেষ নয়, রীতিমতো একটি ছোট তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন দলের মালিক, তথা বলিউডের বাদশা, শাহরুখ খান ও ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সানি, ওরফে সুনীল গাভাস্কার।
কি ঘটেছিল দুজনের মধ্যে? ঘটনা সূত্রপাত ২০০৯ সালে। সেই বছরের আইপিএলে দলের পারফরমেন্স ছিলোনা একেবারেই ভালো। পরাজয়ের পর পরাজয়ের মুখ দেখতে হচ্ছিল তাদের। এখানেই শেষ নয়, এমনকি জেতা ম্যাচও হেরেছিল তারা। সেই সময়ে দলের তৎকালীন কোচ জন বুকানন মাল্টিপেল ক্যাপ্টেন থিওরি পদ্ধতি চালু করেন। এরপরই আসরে নামেন সানি। এর সমালোচনা করে নিজের কলামে লিখেছিলেন যে এই ব্যাপারে আলোচনা করা মানে সময় নষ্ট করা এবং এরপর তিনি দাবী করেন যে নিজের কুইন্সল্যান্ডের বন্ধুদের কেকেআরে চাকরি পাইয়ে দিয়ে মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বুকানন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শাহরুখ খান জানান, “আমি নিজের অর্থ ব্যয় করেছি এই দলের উপর এবং আমার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। আপনার যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনি নিজে একটা দল কিনুন এবং যেরমভাবে ইচ্ছা চালান।” যদিও পরে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন শাহরুখ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি ওনাকে কোন কটাক্ষ করিনি। উনি যা বলেছেন, সেটা মেনে চলা উচিত। নতুন কিছু করার জন্য আমি একটু স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। আমি ওনার কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি যদি আমার কথায় উনি আঘাত পান। আমি ওনাকে চিঠিও পাঠিয়েছি যখন উনি আমেরিকায় ছিলেন।”