দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: আইপিএল ২০২৫এর শুরুটা একেবারে স্বপ্নের মতো হয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। মরশুমের প্রথম ম্যাচেই ১৭ বছরের বদলা নিতে সফল হয়েছেন বিরাট কোহলিরা। ২০০৮ সালের আইপিএলে আরসিবিকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল কেকেআর। সেই বদলাটা কি তারা নিয়েছে এবার। নাইটদের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে। ৭ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলেছেন রজত পতিদারের ছেলেরা। সবমিলিয়ে, একেবারে একটা ড্রিম স্টার্ট হয়েছে দলের জন্য, যার মোমেন্টাম আগামী ম্যাচগুলিতেও তারা কাজে লাগাতে চাইবে।
তবে সেই ম্যাচে ঘটে একটি মজাদার কান্ড। দর্শকদের কাছে সেটি মজাদার হলেও নিরাপত্তারক্ষী ও বহু ক্রিকেটারের কাছে তা অপ্রীতিকর ঘটনা। কি ঘটে? আরসিবির রান তাড়া করা চলাকালীন মাঠে ঢুকে পড়েন বিরাট কোহলির এক ভক্ত। এখানেই শেষ নয়, সেই তরুণ ভক্ত রীতিমতো বিরাটের পায়ে লুটিয়ে পড়েন। যদিও কিং কোহলি ব্যাপারটাকে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। পাল্টা সেই ভক্তকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন এবং নিরাপত্তারেক্ষীদের অনুরোধ করেছেন যে কোন কঠোর শাস্তি যেন তাঁকে দেওয়া না হয়।
কিন্তু বিরাট অনুরোধ করলেও সিএবি বিষয়টিকে একেবারেই ভালো চোখে নেয়নি। তাদের কাছে এটি একটি অপ্রীতিকর ঘটনা এবং তার মনে করে এগুলি একেবারেই পশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। সেই তরুণ ভক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ এবং নিয়ে যাওয়া হয় ময়দান থানায়। সেই ভক্তের নাম ঋতুপর্ণ পাখিরা এবং তিনি সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এবার ঋতুপর্ণ জানালেন সেদিন বিরাট কোহলি তাঁকে কি বলেছিলেন। তবে এটাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন যে তিনি ভুল কাজ করেছেন ঠিকই, তবে এর জন্য বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন। তাঁর বক্তব্য, “আমি যা করেছি সেটা হয়তো ঠিক নয়। কিন্তু বিরাট কোহলি আমার কাছে ভগবানের মতো। আমার প্রণাম করার ইচ্ছা ছিল আমার ঈশ্বরকে। সেই আবেগ থেকেই এটা করে বসেছি।” এরপর তিনি জানান ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁকে কি বলেছিলেন কোহলি। ঋতুপর্ণ বলেন, “উনি প্রথমে আমার নাম জিজ্ঞেস করেন এবং তারপর বলেন পালিয়ে যেতে। যেই নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে ধরতে এসেছিল, উনি তাদেরকে অনুরোধ করেন যেনো আমাকে কিছু না করে এবং ছেড়ে দেওয়া হয়।” এই বক্তব্য ইতিমধ্যেই জানাজানি হয়ে গিয়েছে চারিদিকে। সকলেই ঋতুপর্ণের বিরাটের প্রতি এই ভালবাসার প্রশংসা করেন।