ব্যর্থতা ভুলে ইস্টবেঙ্গল-মহামেডানের টার্গেট সুপার কাপ

ব্যর্থতা ভুলে ইস্টবেঙ্গল-মহামেডানের টার্গেট সুপার কাপ

দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইএসএল এক দুঃস্বপ্ন ছিল বাংলার দুই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এফসি ও মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। চরম ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়েছে দুই দলকে। প্রথম থেকে লাগাতার পরাজয়ের জেরে অন্তিম ছয় যাওয়ার রাস্তা কঠিন হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। পরে আপ্রাণ চেষ্টা করেও তারা জায়গা করতে পারেনি। অন্যদিকে, এর চেয়ে বেশি শোচনীয় অবস্থা ছিল মহামেডানের। নিজেদের প্রথম আইএসএল অভিযান তারা শেষ করেছে অন্তিম স্থানে। তবে এবার এই ব্যর্থতা ঢাকতে সুপার কাপে মন দিচ্ছে দুই দল। টুর্নামেন্ট জিততে মরিয়া লাল-হলুদ ও সাদা-কালো বাহিনী।

দলের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসী ও মনোবল চাঙ্গা করতে মার্চে শেষের দিকেই অনুশীলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাল-হলুদ শিবিরের হেড কোচ অস্কার ব্রুজো। একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচও খেলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়, প্লেয়িং একাদশ কেমন হবে, সেদিকেও জোর দিচ্ছেন তিনি। অস্কার চাইছেন দলের তিন বিভাগের বোঝাপড়া ভালো থাকুক ময়দানে। সেই কারণে এখন থেকেই তিনি উঠেপড়ে লেগেছেন দলকে তৈরি করতে।

অন্যদিকে, সুপার কাপ জয়কে পাখির চোখ করে দ্রুত অনুশীলনে নামতে চাইছে মহামেডানও। এপ্রিল মাসে প্রথম দিক থেকেই প্রস্তুতিতে নামবেন দলের ফুটবলাররা। জানা গিয়েছে, আইএসএল থেকে বিদায় নেওয়ার পরই ইনভেস্টার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াদুর। সুপার কাপ জেতার সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনা হয়। এখানেই শেষ নয়, বিদেশি ফুটবলের বা রিজার্ভ দল থেকে কয়েকজনকে খেলানোর ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এই প্রসঙ্গে মেহরাজ বলেছেন, “প্রায় তিন সপ্তাহ সময় পাবো আমরা সুপার কাপে নামার আগে এবং সেটাকেই আমাদের কাজে লাগাতে হবে। এই মুহূর্তে ছুটিতে রয়েছে দলের সকল ফুটবলাররা। রিজার্ভ দলের কয়েকজনকে সই করার কথা চলছে। তবে তারা সেটা এখনো পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি। যারা হাতে রয়েছে, তাদের দিয়েই দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা। এটাই আমাদের লক্ষ্য। ঠিক যেমন আমরা করেছি আইএসএলের অন্তিম কয়েকটি ম্যাচে।”

প্রসঙ্গত, গতবারের সুপার কাপ নিজের ঝুলিতে তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। ফাইনালে তারা পরাজিত করেছিল ওড়িশাকে ৩-২ গোলে। সেই সময়ে দলের হেড কোচের ভূমিকায় ছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। কিন্তু চলতি আইএসএলের প্রথমদিকে ইস্টবেঙ্গলের বিশ্রী পারফরম্যান্সের পর তাঁকে পড়তে হয় তীব্র সমালোচনার মুখে এবং চাপে পড়ে তিনি ইস্তফা দেন। এবার দেখার বিষয় যে এই মরশুমে ম্যাজিক দেখাতে পারে কিনা দুই দল। কি হবে শেষ পর্যন্ত? তা বলবে সময়।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *