এবারও কি জয়ের মুখ দেখতে পারবেন নাইটরা?

এবারও কি জয়ের মুখ দেখতে পারবেন নাইটরা?

দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: দেখতে দেখতে অষ্টাদশ এডিশনে পা ফেলতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেটের জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল, ওরফে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। আর ঠিক এক সপ্তাহ বাদেই শুরু হবে এই মেগা টুর্নামেন্ট। ইতিমধ্যেই সমস্ত দল গুছিয়ে ফেলেছে নিজেদের সংসার। প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজিই নিজেদের শিবিরে জায়গা দিয়েছে তরুণ থেকে তারকা ক্রিকেটার সকলকেই। পাশাপাশি, দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনাও তুঙ্গে পৌঁছে গেছে। সবমিলিয়ে, প্রতিবছরের মতো এবার ফের কয়েক মাস ধরে টেলিভিশন সেটে চোখ জমাতে শুরু করবেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।

তবে অংশগ্রহণকারী সকল দলের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সফল হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, অর্থাৎ কলকাতা নাইট রাইডার্স। গত মরশুমে যেমন খেলা তারা উপহার দিয়েছে ভক্তদের, তারপর থেকে দলের ক্রিকেটারদের উপর আশা আরো বেড়ে গিয়েছে অনেকের। সমাজ মাধ্যমগুলিতে অনেকে এটাও মনে করছেন যে এবারও হয়তো শাহরুখ খানের ছেলেরা বাজিমাত করবে এবং চতুর্থবারের জন্য ট্রফি তুলবে। আবার একাংশ এটাও দাবি করছেন যে এবার হয়তো ব্যাপারটা সহজ নাও হতে পারে তাদের কাছে। বলা যায়, এখন তারা হয়ে উঠেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে এক আলোচনার বিষয়।

কিন্তু আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরবো যে এবার কেকেআরের ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা ঠিক কতটা। প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে এবার নাইট শিবিরে দেখা যাবেনা গতবছরের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার, তথা অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার, মিচেল স্টার্ককে। অনেকেই আশা করেছিলেন যে এবারেও হয়তো তাঁকে দেখা যেতে পারে দলের সঙ্গে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্টার্ককে রিটেন করতে রাজি হননি দলের শীর্ষ কর্তারা। পাশাপাশি, এবার দেখা যাবেনা দলের আরেক পুরানো ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নীতিশ রানাকেও। এখানেই শেষ নয়, এবার থাকছেনা দলের জয়ী অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও। তবে তাঁদের পরিবর্তে নিলামে কেনা হয়েছে কুইন্টন ডি কক, মইন আলি সহ আরো বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ক্রিকেটারকে।

এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। এখন অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। এবারও কলকাতা নাইট রাইডার্স পারবে তো ট্রফি জিততে? প্রথমেই আসা যাক ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টে। এক কথায় বলতে গেলে বাকি দলগুলির তুলনায় নাইটদের ব্যাটিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী। দলের কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার যদি চোটের কারণে খেলতে না পারে, তাহলে অন্য কেউ সেই ভূমিকাটা বেশ সহজেই পালন করার ক্ষমতা রাখে। উপরের দিকে যেমন রাহানে, ভেঙ্কটেশ, রমনদ্বীপের মতো আগ্রাসী ব্যাটাররা রয়েছেন, ঠিক তেমনি মিডিল অর্ডার বা লোয়ার মিডিল অর্ডারে দেখা যেতে পারে আন্দ্রে রাসেল বা রিঙ্কু সিংয়ের মতো পিঞ্চ হিটারদের। এক কথায় বলতে গেলে এই বিভাগে অজস্র অপশন রয়েছে নাইটদের।

এরপর আসা যাক বোলিং ডিপার্টমেন্টে। সুনীল নারিন ও বরুন চক্রবর্তীদের মতো স্পিনাররা প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের হিমশিম খাওয়াতে বেশ পাকাপোক্ত। এছাড়া পেস বিভাগে হর্ষিত রানা ও স্পেন্সার জনসনের মতো বোলাররা রয়েছেন যারা একটা বড় আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারেন। পাশাপাশি, রান আটকানোর জন্য কিছু ওভার করানো যেতে পারে আন্দ্রে রাসেল বা মইন আলীদের দিয়েও। সবমিলিয়ে দেখতে গেলে দলটা এখনো বেশ ব্যালেন্সড এবং এবারও তাদের কাছে সম্ভাবনা রয়েছে আইপিএল জেতার। যদিও শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই দেখার বিষয়। তবে তা জানতে হলে চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে আপনাদের চোখ রাখতে হবে টিভির পর্দায়। কি হবে অবশেষে? তা বলবে সময়।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *