দেবজিৎ মুখার্জি: প্রথম ম্যাচে জয় না পেলেও আইপিএল ২০২৫এর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেল গত মরশুমের জয়ী দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা পরাজিত করল রাজস্থান রয়েলসকে। যদিও এই জয় সামান্য জয় নয়। বড় মার্জিনেই জয় পেয়েছে দল। ম্যাচটি পকেটে পুড়েছে ৮ উইকেটে। যেভাবে দলের প্রত্যেকটি ক্রিকেটার পারফর্ম করেছেন, তাতে বলা যায় যে ছন্দে ফিরছে অজিঙ্কা রাহানের বাহিনী। রাজস্থানকে বেশ হাবুডুবু খেতে দেখা গিয়েছে তাদের বোলারদের সামনে। সবমিলিয়ে, এই জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে গোটা নাইট শিবিরের।
এই জয়ের মূল নায়ক দলের তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। ৬১ বলে ৯৭ রানের একটি আগ্রাসী ইনিংস খেলেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, রান তাড়া করে ম্যাচ জেতায় অপরাজিত ছিলেন তিনি। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় তাঁকেই। প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকার খেলায় মুগ্ধ হয়েছে গোটা ক্রিকেটমহল। ৮ থেকে ৮০ সকলেই তাঁর ইনিংসের প্রশংসা করেছেন। অনেকে এটাও দাবি করছেন যে ভবিষ্যতে তিনি নাইটদের মেন্টর হলেও হতে পারেন। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে ডি কক হয়ে উঠেছেন নাইট সমর্থকদের নয়নের মনি।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে একাধিক বক্তব্য তুলে ধরেন ডি কক। এখানেই শেষ নয়, অবসরের পর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন তিনি। ডি কক বলেন, “সুযোগ পেয়ে খুশি এবং আমি সেটা কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম।” এরপরই অবসর নিয়ে কথা বলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “সত্যি বলতে এখন অবধি কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হইনি। তিন মাস অফ পেয়েছিলাম যেটা বেশ ভালো। দশ দিনের মত বিল্ডআপ পেয়েছিলাম এই সিজনে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে আমরা রান তারা করেছি। এতে যেটা হয়েছে যে বোঝা যাচ্ছিল পিচটা কেমন। আমি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি।”
এরপর ডি কক বক্তব্য রাখেন ‘নেট রান-রেট’ প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, “সেরম উইকেট ছিলোনা। বল ঘুরছিল আর থামছিল। এটা আসলে ওয়ার্কিং ম্যান্স উইকেট। এর থেকে যদি ভালো উইকেটে আমরা সুযোগ পাই, তাহলে সেই বিষয় নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। তবে এই ম্যাচকে ঘিরে আলোচনা ছিল জেতা নিয়ে।” পাশাপাশি, নতুন দল প্রসঙ্গেও নিজের অবস্থান জানান প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা। তিনি বলেন, “আমার নতুন পরিবেশ ও নতুন লোকের সম্মুখীন হতে ভালো লাগে। পুরো বিষয়টাই দলে নিজের জায়গা করা নিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দল অনেক পরে অ্যাকসেপ্ট করে। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথমেই আমাকে খোলা হাতে অ্যাকসেপ্ট করে নিয়েছিল। তাই বেশ ভালোই লাগছে।”