দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথমদিকে তারা জিতে চলেছিল একের পর এক ম্যাচ। তবে মাঝে তাল কাটে। কিন্তু জয়ের রাস্তায় ফিরতে বেশি সময় লাগেনি তাদের। এবার তারা পরাজিত করল ঋষভ পান্থ নেতৃত্বাধীন লখনৌ সুপার জায়েন্টসকে। শুধু জয় নয়, রীতিমতো বড় মার্জিনে জয় পেয়েছেন অক্ষর প্যাটেল ও তাঁর বাহিনী। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে তারা। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটাই যে কেএল রাহুলদের এই জয় এসেছে লখনৌর ঘরের মাঠে। বলা যায়, একেবারে বেপাড়ায় গিয়ে দাদাগিরি দেখিয়ে এসেছে দিল্লি।
এদিনের ম্যাচ থেকে উঠে এসেছে একাধিক দুর্দান্ত পারফরমেন্স। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে কেএল রাহুল ও অভিষেক পোড়েলের ব্যাটিং এবং বল হাতে মুকেশ কুমারের দুর্দান্ত বোলিং। দেখতে গেলে এই জয়ে বড় অবদান রয়েছে বাংলার দুই ক্রিকেটারের। একজন ব্যাট হাতে এবং একজন বল হাতে। ম্যাচ শেষে অভিষেক ও মুকেশ, দুজনেই খুশি প্রকাশ করেছেন এবং নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন ব্যক্তিগত ও দলের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তাঁর ব্যাটিং নিয়ে। সেই প্রশ্নের উত্তরে বাংলার তরুণ ক্রিকেটার বলেন, “আমার মধ্যে কনফিডেন্স ছিল যে আমরা রান তাড়া করে জিততে পারবো। উইকেট ভালই ছিল এবং আমরা ভালোই বল করেছি, বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলিতে এবং সেই কারণেই আমি আশাবাদী ছিলাম।” নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি হেমাং স্যার ও কেভিন পিটারসনের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সেই অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। সকলেই বেশ সাপোর্টিং এবং সাপোর্ট স্টাফ আমায় বলেছে খোলা মাইন্ডসেট নিয়ে খেলতে।” অবশেষে নিজের লক্ষ্য প্রসঙ্গে জানানো অভিষেক। তিনি বলেন, “আমি টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলতে চাই। তবে এই মুহূর্তে আমি দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রান করে ট্রফি জেতার উপর নজর দিচ্ছি।”
অন্যদিকে, মুকেশ কুমারও নিজের বক্তব্য রাখেন এই প্রসঙ্গে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁকে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করার পর তিনি বলেন, “এই উইকেটে বোলিং করতে আমার বেশ ভালই লেগেছে। দ্বিতীয় ওভার বল করতে আসার আগে আমি অন্যান্য বোলারদের সঙ্গে আলোচনা করে নিই এবং ওরা আমাকে বলে এটা একটু থেমে আসছে এবং সেই কারণে আমি মিক্স করার চেষ্টা করি। আমি বরাবরই নিজের অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা করি নিজের পরিকল্পনা নিয়ে। মিচেল মার্শের উইকেটটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই সময়ে ওর উইকেটটা নেওয়া বেশ প্রয়োজনীয় ছিল।”