দেবজিৎ মুখার্জি: এ যেন ঠিক লটারি লাগার মতো ব্যাপার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। আইপিএলের শুরু থেকে পরপর ম্যাচ হারছিল তারা। কিন্তু হঠাৎ ঘুরে যায় পুরো পরিস্থিতি। লাগাতার ম্যাচ জিততে শুরু করে তারা এবং এই মুহূর্তে তারা পয়েন্টস টেবিলে দুই নম্বরে পৌছে গেছে। এদিন তারা পরাজিত করল ঋষভ পান্থের লখনৌ সুপার জায়েন্টস্কে। শুধু জয় নয়, রীতিমতো বড় মার্জনে জয় পেয়েছেন রোহিত-সূর্যরা। ৫৪ রানে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলতে সফল হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও তাঁর বাহিনী। সৌজন্যে ব্যাট হাতে রায়ান রিকেল্টন ও সূর্যকুমার যাদবের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং বল হাতে বুমরাহ ও বোল্টের বিধ্বংসী বোলিং। সবমিলিয়ে, একেবারে দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতেছে মুম্বাই।
তবে এদিনের ম্যাচে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সফল হয়েছেন তরুণ প্রোটিয়া তারকা কর্বিন বশ। এদিন তাঁর অভিষেক ঘটে আইপিএলে। প্রথম ম্যাচেই দলের সমর্থকদের মন জয় করেছেন। ব্যাট হাতে তিনি করেছেন ১০ বলে ২০, যার মধ্যে রয়েছে দুটি চার এবং একটি ছয়। বল হাতেও তিনি দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। চার ওভার বল করে তিনি দেন মাত্র ২৬ রান এবং তোলেন একটি উইকেট। এক কথায় বলতে গেলে, তিনি দল এবং সমর্থক সকলেরই মন জয় করেছেন। সবমিলিয়ে, একেবারে একটা ড্রিম ডেবিউ হয়েছে তরুণ প্রোটিয়া তারকার।
ম্যাচ শেষে কর্বিন নিজের অভিষেক আইপিএল ম্যাচের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “একটা দারুণ দিনে আমার আইপিএল অভিষেক ঘটলো। আজ আমার ভাইয়ের জন্মদিন ছিল। আজ সকালে খবর পাই যে আমাকে খেলানো হবে। এই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলটা খুবই স্পেশাল। এখনো পর্যন্ত সফরটা আমি বেশ এঞ্জয় করেছি। আমার নার্ভ ব্যাটে বল লাগতেই সেটেল ডাউন করে। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমি নিজের বোলিং ব্যাক নিয়ে অনেক কাজ করেছি। দল আমাকে যেই জায়গায় ব্যাট করতে বলবে আমি তাতেই খুশি। যতটা পারবো দলের জন্য অবদান রাখতে ইচ্ছুক। এখানকার দর্শক বেশ ভালো। আমরা ওদের জন্য এই দিনটা স্পেশাল করতে পেরে খুব খুশি। বেশ দারুণ উদ্যোগ ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের তরফ থেকে।” প্রসঙ্গত, এদিন প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৫ রান তোলে মুম্বাই। অন্যদিকে, লখনৌর ইনিংস শেষ হয় ২০ ওভারে ১৬১ রানে।