দেবজিৎ মুখার্জি: ফের জয়ের রাস্তায় ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। এবার তারা পরাজিত করল লক্ষনৌ সুপার জায়েন্টসকে। শুধু জয় নয়, একেবারে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন অক্ষর প্যাটেল ও তাঁর বাহিনী। সৌজন্যে বল হাতে মুকেশ কুমারের দুর্দান্ত বোলিং এবং ব্যাট হাতে অভিষেক পোড়েল ও কেএল রাহুলের আগ্রাসী ইনিংস। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই জয় দিল্লি পেয়েছে লখনৌয়ের হোম গ্রাউন্ড একানা স্টেডিয়ামে। সবমিলিয়ে, একটি নিখুঁত টিম গেমের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের তরফ থেকে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। শুরুটা বেশ দারুন হয় লক্ষনৌর। দশম ওভারে শেষ বলে পরে তাদের প্রথম উইকেট এডেন মার্করামের রূপে। তিনি একটি দুর্দান্ত অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর নেমে কয়েকটি বল খেলেই আউট হন পুরান। দ্রুত ফিরে যান সামাদও। এরপর আয়ুশ বাদোনিকে নিয়ে ইনিংসে গতি আনেন মিচেল মার্শ। ৪৫ রান করে আউট হন মার্শ। বাদোনি করেন ৩৬। তবে এদিন ব্যাট হাতে বিন্দুমাত্র দাগ কাটতে সফল হননি ডেভিড মিলার ও পান্থ। ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৯। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তোলেন মুকেশ কুমার।
জবাবে রান চেজ করতে নেমে শুরুটা মোটামুটি ভালই হয় দিল্লির। তবে আগ্রাসী ইনিংস খেলতে গিয়ে আউট হন ওপেনার করুণ নায়ার। এরপর অভিষেক পোড়েলকে নিয়ে একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন কেএল রাহুল। ব্যক্তিগত ৫১ রানের স্কোরে আউট হন পোড়েল। এরপর নামেন অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল এবং আক্রমণ অব্যাহত রাখেন রাহুলের সঙ্গে। দুজনে মিলে দলকে ফিনিশ লাইন পার করান। ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন অক্ষর। অন্যদিকে রাহুল অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। এদিন আইপিএলে পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করেন রাহুল। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় মুকেশ কুমারকে।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ৮টি ম্যাচ খেলে ছটিতে জিতে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে রয়েছে দিল্লি। অন্যদিকে, লক্ষনৌ রয়েছে পাঁচ নম্বরে। যদিও পান্থদের কাছে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা কঠিন হয়ে উঠছে। তেমনি আরো একটি ধাপ এগিয়ে গেল দিল্লি। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কোন দলগুলি পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারে। কি হবে শেষ পর্যন্ত? তা বলবে সময়।