নিন্দা জানানোয়ে প্রাণনাশের হুমকি গম্ভীরকে

নিন্দা জানানোয়ে প্রাণনাশের হুমকি গম্ভীরকে

দেবজিৎ মুখার্জি: চরম চাপে টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান হেড কোচ গৌতম গম্ভীর! না কোচ পদ নিয়ে নয়। তাঁকে দেওয়া হলো প্রাণনাশের হুমকি। এই হুমকি এলো ‘আইসিস কাশ্মীর’ নামে জঙ্গি সংগঠনের তরফ থেকে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গেছে ক্রিকেটমহল সহ গোটা ভারতবর্ষে। ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা, সকলেই গৌতির নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, দেশের আমজনতাও দাবি করেছেন যে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সবমিলিয়ে, গম্ভীরকে হুমকি দেওয়া একটা বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি, উপত্যকার পহেলগাঁওতে ঘটে এক ভয়াবহ কান্ড। হয় এক বরসড় জঙ্গি হামলা এবং এতে মৃত্যু হয় ২৭জনের। ঘটনা জানাজানি হতেই এক ভয়ের আতঙ্ক তৈরি হয় কাশ্মীর সহ গোটা ভারতবর্ষে। যদিও এখানেই সবকিছু থেমে যায়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক লড়াই। বর্তমান কেন্দ্র সরকারকে একহাত নেন সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রের নিরাপত্তার খামতির জন্যই এতগুলি মানুষের প্রাণ গেছে। হামলার সমস্ত দায়ভার নিয়েছে রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট নামক এক জঙ্গি সংগঠন।

এরপর খবরের চ্যানেল থেকে শুরু করে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, সবেতেই ছড়িয়ে পড়ে এই দুর্ঘটনাটি। সকলেই পোষ্টের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য জানান। বিনোদন জগৎ থেকে শুরু করে ক্রীড়া জগত, সকলেই এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা সন্ত্রাসবাদীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান। তাঁদের মধ্যে একজন দলে প্রাক্তন ক্রিকেটার, তথা বর্তমান হেড স্যার, গৌতম গম্ভীর। মৃতদের পরিবারে প্রতি সমবেদনা জানিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গৌতি জানান যে ভারত প্রত্যাঘাত করবেই।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই নাকি গম্ভীরের কাছে আসে হুমকি, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। প্রাক্তন ক্রিকেটার জানান যে গত ২২শে এপ্রিল তাঁর কাছে দুটি হুমকি ইমেল আসে আইসিস কাশ্মীরের তরফ থেকে এবং তাতে লেখা ছিল ‘আই কিল ইউ’। যদিও প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ পদক্ষেপ নিতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি। তিনি দিল্লি পুলিশকে সেই ইমেলের কপি দিয়ে পরিবারের সুরক্ষার দাবি তোলেন। পুলিশও ব্যাপারটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে এবং জানিয়েছে যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার পাশাপাশি গম্ভীর প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ এবং সেই কারণে জঙ্গিদের হিটলিস্টে তাঁর নাম থাকা স্বাভাবিক। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয় গম্ভীরের সুরক্ষার জন্য।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *