পরপর জয় মুম্বাইয়ের! ফের পরাজিত হায়দ্রাবাদ

পরপর জয় মুম্বাইয়ের! ফের পরাজিত হায়দ্রাবাদ

দেবজিৎ মুখার্জি: জয়ের ধারা অব্যাহত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। আবারো তারা পরাজিত করলো গতবারের রানার-আপ দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে। শুধু জয় নয়, বেশ বড়সড় জয় পেল তারা। ৭ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া ও তাঁর বাহিনী। সৌজন্যে বল হাতে ট্রেন্ট বোল্টের বিধ্বংসী বোলিং এবং ব্যাট হাতে রোহিত শর্মার মারকুটে ইনিংস। এই জয়ের ফলে তারা অনেকটাই এগিয়ে গেল পয়েন্ট তালিকায়। এই মুহূর্তে তারা পৌঁছে গেছে তিন নম্বরে এবং চাপে ফেলে দিয়েছে পাঞ্জাব কিংসকে। 

এদিনের ম্যাচ খেলা হয় হায়দ্রাবাদের ঘরের মাঠ রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। টসে জিতে হায়দ্রাবাদকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তবে এদিন ব্যাপক ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয় আয়োজকদের। ৫০ রানের গণ্ডি ছোয়ার আগেই অর্ধেক দল ফিরে যায় প্যাভিলিয়নে। একটা সময়ে ধরে নেওয়া হয়েছিল যে ১০০ রানও করতে পারবেনা তারা। তবে উইকেটরক্ষক ব্যাটার ক্লাসেন ও অভিনব মনোহরের একটি বড় পার্টনারশিপ পরিস্থিতি সামাল দেয়। তাদের ষষ্ঠ উইকেটটি পড়ে ১৩৪ রানে। নির্ধারিত ২০ ওভারে হায়দ্রাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৪৩। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট।

জবাবে রান তাড়া করতে নেমে মুম্বাইয়ের শুরুটাও ভালো হয়নি। ৮ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রায়ান রিকেলটন। তবে এদিনও নিজের ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে সকলের মন জয় করতে সফল হয়েছেন হিটম্যান, ওরফে রোহিত শর্মা। ১৯ বলে ২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান উইল জ্যাক্স। এরপর সূর্যকুমার যাদব নেমে রানের গতি অব্যাহত রাখেন রোহিতের সঙ্গে। ৪৬ বলে ৭০ রানে শেষ হয় রোহিতের ইনিংস। এরপর তিলক বর্মাকে নিয়ে দলকে ফিনিশ লাইন পার করান সূর্য। ১৬ ওভার শেষ হওয়ার আগেই তিন উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় মুম্বাই। মোট ২৬ বল বাকি থাকতে ম্যাচ নিজেদের ঝুলিতে তুলে নেন হার্দিকরা। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে।

এই জয়ের সুবাদে পয়েন্টস টেবিলে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে মুম্বাইয়ের। বলতে গেলে, তারা একলাফে পরবর্তী রাউন্ডে কোয়ালিফাই করার লড়াইতে চলে এসেছে। এই মুহূর্তে তারা তৃতীয় পজিশনে। অন্যদিকে, হায়দ্রাবাদের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এখন পুরোপুরি অংকের খেলার উপর নির্ভর করছে। তাও আশা খুবই ক্ষীন। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কি হয়। কাদের ভাগ্যে লেখা আছে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া? তা জানা যাবে আর কিছুদিনের মধ্যে।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *