দেবজিৎ মুখার্জি: ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটে কি লাগতে চলেছে আরও এক বড় ধাক্কা? রোহিত শর্মার পর এবার ক্রিকেটের বড় ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরাট কোহলি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। কিং কোহলি নাকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে এই ব্যাপারে বার্তাও দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অবসর নেওয়ায় মারাত্মক চাপে পড়তে পারে টেস্ট দল। অভিজ্ঞতা তেমন না থাকায় সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন তরুণ ক্রিকেটাররা।
রোহিত শর্মার মতো গত কয়েকটা সিরিজে ব্যাট হাতে দাগ কাটতে পারেননি বিরাট কোহলিও। অজিদের বিরুদ্ধে তাঁদের মাঠে ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরি এলেও তাঁর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী তিনি একেবারেই পারফর্ম করতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবে এরপরই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় চেজ মাস্টারকে। এমনকি অনেকে তাঁর অবসর নেওয়ার দাবিও তোলেন। যদিও সেগুলিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি বিরাট এবং জানিয়েছিলেন যে আপাতত তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন।
এরপর মাঝে খেলা হয় আইসিসির এক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেখানে বেশ দারুন পারফর্ম করেন বিরাট। খেলেন ম্যাচ উইনিং ইনিংস। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর শতরান দৃষ্টি আকর্ষণ করে সকল ক্রিকেটপ্রেমীর। এখানেই শেষ নয়, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যেই ক্রিকেট তিনি তুলে ধরেছিলেন, তাও মন জয় করে সকলের। বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীরা এমনও দাবি করেন যে এখনো বহুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত বিরাটের। এমনকি অবসর নেওয়া তাঁর প্রাক্তন সতীর্থদেরও একই মত। সবমিলিয়ে, টেস্ট ক্রিকেটে ব্যর্থ হলেও লিমিটেড ওভার ফরম্যাটগুলিতে বিরাট এখনো রাজত্ব করছেন। মাঠেও এবং মনেও।
কিন্তু এবার কোহলি নিলেন বড় ডিসিশন। বোর্ডকে জানিয়ে দিলেন তাঁর অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এমনটাই দাবি করেছে। তাদের খবর অনুযায়ী, “ঠিক করে নিয়েছে বিরাট। টেস্ট ক্রিকেট থেকে ও সরে দাঁড়াতে চায়, সেটা জানিয়ে দিয়েছে বোর্ডকে। তবে বিরাটকে বিবেচনা করার কথা বলেছে বিসিসিআই কারণ কিছুদিন পরই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু এতো অনুরোধ করার পরও বিরাট তাতে সাড়া দেয়নি।” এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চিন্তায় পড়েছে দেশের ক্রিকেটমহল। পাশাপাশি, হতাশ হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরাও। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি সরে আসেন কিনা নিজের অবস্থান থেকে। কি হবে শেষ পর্যন্ত? তা বলবে সময়।