দেবজিৎ মুখার্জি: চলতি আইপিএল থেকে বেরিয়ে গেল রাজস্থান রয়েলস। নিজেদের ঘরের মাঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর ট্রফি জেতার সমস্ত আসা শেষ হয়ে গেল রিয়ান পরাগ। বেশ বড় মার্জিনেই ম্যাচ নিজেদের নামে তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া ও তাঁর সেনা। জয়ের ব্যবধান ১০০ রান। এদিনের ম্যাচে মুম্বাইয়ের বোলারদের সামনে রীতিমত মাথানত করতে বাধ্য হয় রাজস্থানের ব্যাটিং বিভাগ। বলতে গেলে, একেবারে দুরমুশ করে দেয় বুমরাহ-চাহাররা। সবমিলিয়ে, উপজয় মুম্বাইয়ের প্লে-অফ খেলার রাস্তা আরো সহজ করে তুলল।
তবে এদিন রাজস্থানের পরাজয় যতোনা বেশি হতাশ করিয়েছে দলের সমর্থক সহ ক্রিকেটপ্রেমীদের, তার চেয়ে বেশি অনেকেই হতাশ হয়েছেন বৈভব সূর্যবংশীর ব্যর্থতায়। খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ‘বেবি বস’। তাঁকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান দীপক চাহার। বড় রান তাড়া করতে নেমে বাউন্ডারি হাকাতে গিয়ে আউট হন তিনি। এই দৃশ্য দেখার পরই মুখের হাসি ম্লান হয়ে যায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত রয়েলস সমর্থকদের। এখানেই শেষ নয়, চরম হতাশ হতে দেখা যায় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও। বলতে গেলে, বৈভবের থেকে এমনটি আসা অনেকেই করেননি।
এবার বৈভব সূর্যবংশীকে নিয়ে অতিরিক্ত প্রশংসা প্রসঙ্গে সতর্ক করলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। জিওস্টারে ম্যাচ চলাকালীন সানি স্পষ্ট জানান যে বৈভাবের মধ্যে প্রতিভা থাকা সত্বেও তাঁর অতিরিক্ত প্রশংসা করা উচিত নয়। এখানেই শেষ নয়, একটি বিশেষ পরামর্শও দেন সানি। তিনি জানান যে উদীয়মান ক্রিকেটারের প্রথম বলে ছক্কা হাকানোটা কোনভাবে যেন চাপ হয়ে না দাঁড়ায়। বলতে গেলে, সুনীল গাভাস্কার একপ্রকার বুঝিয়ে দেন যে প্রশংসা ভুলে বৈভব নিজের খেলার আরো উন্নতি যেন করেন।
সানি বলেন, “বৈভব সূর্যবংশী আরো পরিণত ক্রিকেটার হয়ে উঠবে বলে আমি মনে করি। যতদিন যাবে আরও ভালো হবে। ও রাহুল দ্রাবিড়ের থেকে শিখবে কিভাবে নিজের ইনিংস গোছাতে হয়। আমি মনে করি যে আমাদের উচিত ওর অতিরিক্ত প্রশংসা না করা। প্রথম ম্যাচে প্রথম বলে ছয় মারা, এই বিষয়টা যেন কোনরকম চাপ না হয়ে দাঁড়ায়। যারা অভিজ্ঞ বো, তারা হয়তো ভাববে ও প্রথম বলেই ছক্কা হাকাতে চায় এবং সেই অনুযায়ী ওদের শট বল করে প্যাভিলিয়নে ফেরানো সহজ হয়ে যাবে। হয়তো এগুলির পর ও অস্থির হয়ে উঠবে এবং অতিরিক্ত ভাবতে শুরু করবে।”