দেবজিৎ মুখার্জি: “শট খেলা সহজ ছিলোনা” পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক শুভমান গিল। তিনি বোঝালেন উইকেটের অবস্থা ঠিক কেমন ছিল। তাঁর বক্তব্য, বৃষ্টির জেরে উইকেট একটু স্লো হয়ে যায় এবং শট খেলা কঠিন হয়ে যায়। পাশাপাশি, কি পরিকল্পনা নিয়ে দল খেলতে নেমেছিল, সেই ব্যাপারেও বক্তব্য রাখেন গিল। গুজরাট অধিনায়ক জানান যে পাওয়ারপ্লেতে গেম প্ল্যান আলাদা ছিল।
গতকাল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হোম গ্রাউন্ড ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে তাদের বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামে গুজরাট টাইটান্স। প্রথমে ব্যাট করে শুরুটা ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত সেই দাপট বজায় রাখতে সফল হয়নি মুম্বাই। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৫৫। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় গুজরাট। মাত্র পাঁচ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান দলের তারকা ওপেনার সাই সুদর্শন। এরপর বাটলারকে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ার পর রুদারফোর্ডকে নিয়েও একটি পার্টনারশিপ গড়েন গিল। তবে মাঝের ওভারগুলিতে দ্রুত উইকেট পড়তে থাকায় চাপে পড়ে যায় গুজরাট। পাশাপাশি, বৃষ্টি বহুবার ব্যঘাতও ঘটিয়েছে। অবশেষে ১৯ ওভারে তাদের টার্গেট দাঁড়ায় ১৪৭। অবশেষে ৭ উইকেট হারিয়ে একদম অন্তিম বলে ফিনিশ লাইন পার করে দল। ম্যাচের সেরা হন জিটি অধিনায়ক শুভমান গিল।
তবে ম্যাচের সেরা হওয়া সত্ত্বেও গিলের এদিন স্লো ইনিংসে খুশি হননি দলের বহু সমর্থকরা। তিনি করেন ৪৬ বলে ৪৩, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি চার এবং একটি ছয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে এমনকি অনেকে এটাও দাবি করেছেন যে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন ধীরে খেলা উচিত হয়নি তাঁর। যদিও আবার অনেকে এটাও মনে করছেন যে পরিস্থিতি অনুযায়ী একেবারে সঠিক কাজ করেছেন তিনি। তবে সবমিলিয়ে, গিলের এই ধীরে খেলায় তৈরি হয়েছে অনেক প্রশ্ন।
কিন্তু ম্যাচ শেষে গুজরাট অধিনায়ক জানান ঠিক কোন পরিস্থিতিতে তিনি এমন ব্যাটিং করেছেন। শুভমান গিল বলেন, “পরিকল্পনা আলাদা ছিল পাওয়ারপ্লেতে। পরিবেশটা এমন ছিল যেন মনে হচ্ছিল টেস্ট চলছে। পাওয়ারপ্লের পর গেম চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বারবার বৃষ্টি আসছিল। উইকেট টা একটু স্লো হয়ে যায়। শট খেলাও সহজ হয়না। তাই আমরা ভাবি যে আমাদের এরিয়াতে এলেই আমরা হিট করবো। প্রচন্ড ফ্রাস্ট্রেশন বোধ হচ্ছিল। আমরা একটা সময় আগে ছিলাম কিন্তু আমরা ২০ রানে চারটে উইকেট হারাই। কিন্তু আমরা দু’মিনিট আগে সুযোগ পাই এবং সেটা কাজে লাগাই।”